Saturday 16 December 2017

বিজয়ের চেতনা


"বিজয় দিবস পালন হয় যার হিন্দি গানের
তালে, বিজয় উৎসব নাকি কেবলই
তামাশা, থাপ্পড় মারা লাখো শহীদের গালে?

"বিজয় উৎসবের এমন সংজ্ঞা কোথা পেয়েছ
ভাই? বিজয় উৎসব নাকি
কেবলই তামাশা, ধুলো - বালি আর ছাই।

"হিন্দি গান আর পোলাউ - খিচুড়ি এই যদি হয়
বিজয়ের চেতনা, তাহলে তো বিভোর আমি
অবচেতনায় এ জাতী আমায় মেনে নেবে না।

"লাখো শহীদি ভাই প্রাণ দিয়েছিল কি এমন
দিনের জন্য? লজ্জায় তাঁরা দ্বিতীয়বার মরে,
আমাদের জীবন তো ধন্য।

"তোমাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা দিয়েছি
কিছু হিন্দি গান, নিজেদের অজান্তেই জাতির
কাছে খুইয়েছি মান - সম্মান।

"দুঃখ ভরা মন নিয়ে শুধু এতোটুকুই বলিব
আমার শহীদি ভাই, তোমাদের প্রতি
রইলো আমার লাখো লাখো সালাম। 

Wednesday 25 October 2017

"কষ্ট"


''আমি কষ্ট কে খুব কাছ থেকে দেখেছি। ছুঁয়েছি, অনুভব করেছি। 
বড্ড নিষ্ঠুর এবং আপোসহীন ছিলো কষ্টগুলো। 
আমার কষ্টগুলোরও বুঝি কষ্ট ছিল তাই তার প্রতিশোধ সে 
আমার থেকে নিয়েছে। প্রতিশোধ নিয়ে আনন্দ পেয়েছে বেশ, 
কষ্টারোপ এর বস্তুই ছিলাম আমি আমা থেকে ভালো কে জানে।

''আমার কষ্টগুলোর কোন রঙ ছিলোনা সে রঙহীন ছিলো, 
ঝলসানো ছিল। তার রঙ প্রকাশের ব্যর্থতা ছিলো, কিন্তু কোন 
অভিযোগ ছিলনা। কারণ আমার রঙ প্রকাশের 
যোগ্যতা ছিল। সে আমাকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিয়ে রাঙিয়ে 
তুলত কালো রঙে। আমার কষ্টের রঙগুলো 
ফুটে উঠতো মুখে, মুখজ্জল কালো রঙ দেখেও লোকেরা 
আমার হাল জিজ্ঞেস করে কষ্টের উপহাস ই করতো বটে।

''আমার কষ্টগুলোর অনেক বায়না ছিল, বায়না পূরণ করার 
জন্য আমি ছিলাম কিন্তু আমার জন্য কেউ ছিলনা। নাহ 
আমার জন্যও কেউ ছিল অথবা তারা ছিল কিন্তু বায়না পূরণ 
করার জন্য তাদের তাগিদ ছিলনা, প্রফুল্লতা ছিলনা। অথবা 
দৌরাত্ব ছিলনা। যাদের দৌরাত্ব ছিল তাদের সহানুভূতি ছিলনা।

''আজও কষ্ট গুলো চলে যেতে চায়, বা আমি ঠেলে দিতে চাই 
দিগন্তের শেষ প্রান্তে। কিন্তু সুখ খোজার পায়চারীতে কষ্ট 
এবং আমি দুজনই আজ মাঝ পথে এসে ক্লান্ত। 
দুজনই আজ অলসতার চাদরে আচ্ছাদিত। নতুন এক সকালে 
আবারো চালিয়ে যাই সুখ খোঁজার ব্যর্থ প্রয়াস। 
আবারো চালিয়ে যাই সুখ খোঁজার অক্লান্ত পরিশ্রমের অঙ্গভঙ্গি।

Thursday 19 October 2017

আমি দেখেছি


মুহা. তারেক আবদুল্লাহ্ 

"আমি দেখেছি, ঠিক পথের মাঝ দিয়ে হাঁটে 
ছেলেটি। এর ফলস্রুতিতে পথের দু পাশের 
দালান গুলোই চোখে পরে, 
চোখ এড়াতে পারেনা। নিরলস চোখ ফাঁকি 
দেয়া কার সাধ্য? অন্তত মিছে স্বপ্ন দেখার বাস্তব 
চিত্রগুলো জলের মতোই স্পষ্ট। 

"আমি দেখেছি, ছেলেটির চোখের কৌতুহল, 
চোখ ঘোরানোর ভঙ্গিমায় বোঝা যায় 
চিরচেনা পথগুলো যেন ঠিক আগের মতই অচেনা। 
পথের দুপাশের ডুপ্লেক্স বাড়িগুলো যেন 
তার গচ্ছিত স্বপ্নের উপহাস করে, তার পুঞ্জিত 
স্বপ্নগুলোকে মাঝপথে গুলি করে। 

"আমি দেখেছি, ছেলেটির তুচ্ছ স্বপ্নগুলো 
কতটা নিরিহ কতটা অবহেলিত কতটা মুমূর্ষ। 

"আমি দেখেছি, পথ অতিক্রম করা গাড়িগুলোর 
দিকে নির্বাক তাকিয়ে থাকে ছেলেটি, 
গাড়িগুলোকে নিজের ভেবে চেপে বসার 
ছেলেমানুষি। আর মনের অজান্তেই 
কতশত স্বপ্ন বোনে, স্বপ্ন রটে। 
গাড়ির হর্নেই ফের স্বপ্নগুলোর নিপাত ঘটে।

"আমি দেখেছি, অর্থের প্রাচুর্যে কারো স্বপ্নগুলো 
আকাশছোঁয়া, অর্থাভাবে কারও স্বপ্নগুলো 
বদ্ধ ঘরেই কবর দেয়া। 
ফের ঘটে স্বপ্নগুলোর পুনর্জনম, এভাবেই 
চলতে থাকে আমরণ, নতুন রঙে নতুন ঢঙে।

আমি পরাজিত

মুহা. তারেক আবদুল্লাহ্

আমি কাব্য লিখতে গিয়ে প্রতিনিয়তই 
পরাজিত হই, পরাজিত হয় আমার আত্মা, 
পরাজিত হয় আমার আক্ষেপ, 
পরাজিত হয় আমার কাব্যিক মনোভাব। 

আমি কাব্য লিখতে গিয়ে পরাজিত হই 
গুটিকয়েক দুর্বোদ্ধ শব্দের কাছে যেগুলো 
আমার বোধগম্য নয়। আমি কাব্য লিখতে 
গিয়ে পরাজিত হই দিবসের 
এই প্রকৃতির কাছে যারা আমার কাব্যিক 
মনোভাব তৈরী করতে অক্ষম।

আমি কাব্য লিখতে গিয়ে পরাজিত হই 
কালো পর্দায় আড়াল করা এই দৃষ্টির কাছে 
যার দৃষ্টিসীমা খুবই নগণ্য। 
আমি কাব্য লিখতে গিয়ে পরাজিত হই 
দেয়ালের কোনে ঘর বাধা পিপঁড়া তুল্য 
ধৈর্যের কাছে যার দৌরাত্ব খুবই পরিসীম।

আমি কাব্য লিখতে গিয়ে পরাজিত হই 
ভাদ্রের সাইনবোর্ডে অভদ্রের 
ঝাণ্ডাধারী সেই পরিবেশের কাছে যে 
কাব্যচর্চা থেকে দূরে সরিয়ে অশ্লীলতায় 
উদ্বুদ্ধ করে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে।

বিজয়ের চেতনা

"বিজয় দিবস পালন হয় যার হিন্দি গানের তালে, বিজয় উৎসব নাকি কেবলই তামাশা, থাপ্পড় মারা লাখো শহীদের গালে? "বিজয় উৎসবের এমন সংজ্...